বিড়াল ও টুনটুনি পাখির গল্প
একবার একটি মহান বনে, জাহাজের মতো একটি বিড়াল ছিল। তার নাম ছিল মিস্টার মিউ। মিউ ছিলেন খুব সহজে উদার এবং মজাদার। সে সবসময় বনের অন্য প্রাণীদের সঙ্গে কৌতুক করতে ভালোবাসত। একদিন মিউ একটি পরীক্ষা করতে চাইলেন। সে বিশেষ কিছু কিছু বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে চেয়েছিল।
একই সময়ে, একটি ছোট টুনটুনি পাখি ছিল বনের অন্য একটি অংশে। তার নাম ছিল পিপি। পিপি ছিলেন খুব সজীব এবং খুশিতে সময় কাটাতে ভালোবাসতে। তিনি আকাশে উড়তে ভালোবাসতে। পিপি সবসময় নতুন কিছু সম্পর্কে আগ্রহী ছিল।
একদিন, মিউ এবং পিপি পথে একে অপরকে পালটে দেখলে, তারা একে অপরের সাথে মিলে হাসতে হাসতে কথা বলা শুরু করল। মিউ জিজ্ঞেস করল, "পিপি, তুমি যেন আকাশে উড়াতে খুব ভালোবাসো। আমি তো আকাশে কোনো সময় যেতে পারিনি। তুমি আমাকে আকাশে কিছু বিষয় শেখাতে পারো?"
পিপি খুশিতে উত্তর দিল, "বিশ্বাস করো, মিউ, আকাশে উড়াতে আমার খুব অভ্যন্তরীণ সম্পর্ক আছে। আমি তোমাকে সেই সম্পর্ক বিষয়ে কিছু শিখিয়ে দিতে পারি।"
এরপর পিপি মিউকে বলল, "তুমি এই মোহনাসক্ত আকাশের গল্প শুনো। আকাশে উড়ার সময় তুমি যে আনন্দ অনুভব করবে সেটি কোনো কাছের নেই।"
মিউ পিপির কথাগুলি শুনে উত্সাহিত হয়ে উঠল। এরপর দুটি বনপ্রাণী একসাথে আকাশে উড়তে লাগল। আকাশে, তাদের জীবনের সেরা অভিজ্ঞতা ছিল। পিপি মিউকে আকাশে চালানোর টেকনিক শেখালেন, আর মিউ পিপির সাথে তার আকাশের অভিজ্ঞতা শেখে নেয়ার জন্য প্রস্তুতি করত।
এভাবে দুজনে একটি নতুন বন্ধুত্ব গড়ে ফেললেন মিউ এবং পিপি। তাদের মধ্যে সময় কাটানো অত্যন্ত সুখদ ছিল। একদিন তাদের উদ্যানে পরিকল্পনা করতে হয়েছিল আরও নতুন সময় কাটানোর।
তাদের সঙ্গে সূর্যাস্তের সময়ে, বনের মধ্যে একটি সুন্দর বাজার বসে আছিল। বিভিন্ন রঙের ফুল, সবজি, ফল এবং অন্যান্য চারা বিক্রি করা হচ্ছিল। মিউ এবং পিপি বাজারে ভ্রমণ করতে পেল। একটি ফুলের দোকানে, মিউ একটি সুন্দর গোলাপের ফুল দেখে চমকে উঠলেন। তার জন্য মিউ মূল্য জিজ্ঞাসা করলে, দোকানদার তাকে খুশি খুশি ফুলটি দেওয়ার সম্মতি দিলেন। মিউ খুশি হয়ে ফুলটি নিয়ে পিপির দিকে তাকিয়ে বলল, "দেখো পিপি, আমি আপনাকে এই সুন্দর ফুলটি উপহার দিতে চাই।"
পিপি অত্যন্ত খুশি হয়ে উত্তর দিল, "ধন্যবাদ, মিউ! এই ফুলটি খুব সুন্দর এবং আমি খুশি হয়ে গেলাম যে আপনি আমার জন্য এটি নিয়েছেন।"
তাদের সময় যেভাবে কাটতে থাকল না কেন, এই দুজনের বন্ধুত্ব এবং একে অপরের সঙ্গে ভালোবাসা এবং সহানুভূতির উজ্জ্বল উদাহরণ দিতে থাকল। এরপর তাদের সময়ের সাথে বন্ধুত্ব আরও নিশ্চিত হয়ে উঠল। তারা সবসময় একে অপরের সঙ্গে থাকতে চাইত। তারা বিশ্বাস করত, যতটা তাদের সম্পর্ক মাধুর্যময়, ততটা তাদের জীবন সুন্দর ও সমৃদ্ধ হবে। এই উজ্জ্বল বন্ধুত্বের গল্প চিরকাল চিরকাল মানে রাখা হয়ে উঠল।
👉 শেষ কথা
প্রিয় বন্ধুরা তাহলে আজকের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনারা বিড়াল ও টুনটুনি পাখির গল্প সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের খুবই ভালো লেগেছে। এরকম আরো নতুন নতুন গল্প, উক্তি, উপন্যাস সম্পর্কে জানতে আমাদের সাথেই থাকুন ধন্যবাদ।